নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের নবগঠিত উপজেলা ঈদগাঁওতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান। ওই সময় তিনি শহীদ পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন এবং আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি বেশ কিছু সময় শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকেন।
তিনি বলেন, জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে শহীদ ও আহতরাই এই দেশটাকে নতুন ভাবে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছেন। তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে দেশের মানুষ এখন মুক্ত মনে কথা বলতে পারছেন।
ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান বলেন, দেশ যখন গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল, স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা যখন ফেরাউনের আসন পেতে বসেছিল, মানুষ যখন সব আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন তখন এই শহীদ ও আহত এবং গাজী হয়ে ফিরে আসা ছাত্র-জনতা আবাবিল পাখির মতো আল্লাহর সাহায্য হয়ে এসেছিল।
তিনি মনে করেন, জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদ ও আহতদের জাতি কখনো ভুলে যাবে না।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম গজালিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত বেলাল উদ্দিনের বাসায় যান। ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান তার চিকিৎসার খোঁজ নেন। গুলিবিদ্ধ বেলাল উদ্দিনের বামহাতের বাহুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই ইঞ্চির মতো হাড় শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়।
পরে তিনি একই এলাকায় আন্দোলনে শহীদ নুরুল মোস্তফার কবর জিয়ারত করেন এবং তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং সমবেদনা জানান।
সেখান থেকে তিনি যান জালালাবাদ ইউনিয়নে। তিনি জালালাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্রেইনস্ট্রোকে গুরুতর অসুস্থ আতাউল হককে ছাতি পাড়া গ্রামের বাসায় দেখতে যান এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করেন।
পরে তিনি পোকখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ নুরুল আলমকে দেখতে ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংদিয়া গ্রামের বাসায় যান এবং চিকিৎসার খোঁজ নেন।
এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য জানে আলম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উল্লাহ সেলিম, আজিজ সিকদার, বিএনপি নেতা উমর ফারুক লিটন, হারুন অর রশিদ, যুবদল নেতা কায়েসুল ইসলাম কায়েস, জালাল আহমেদ, আরফাত রহমান প্রমূখ।
প্রতিটি ঘুরে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, আমার মেজো ভাই এড, খালেকুজ্জামান কক্সবাজার জেলা বিএনপির এক সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক ছিলেন এবং জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়নে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারণার শেষপ্রান্তে ২৮ সেপ্টেম্বর রামুর খালেকুজ্জামান চত্তরে জনগণের ভালোবাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আপনাদের সমর্থনে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হই। আপনাদের সেই ঋণ শোধ করার জন্য এই জনপদে আসা। আমি আপনাদের সাথে আছি, থাকবো ইনশা আল্লাহ।
